231 ) (গল্প - 1) আসামের জঙ্গলে - 22 (IN THE FOREST OF ASSAM - 22)।-Written by Junayed Ashrafur Rahman
231 https://is.gd/49Ryc ) (গল্প - 1 https://is.gd/tI67x ) আসামের জঙ্গলে - 22 (IN THE FOREST OF ASSAM - 22)।-Written by https://is.gd/sx3IU Junayed Ashrafur Rahman ✒
(Running 🌈Google/ https://is.gd/LgkC3 First Part 🌈Google/ https://is.gd/UDjV8 )
Ratul then took out some thin polythene from inside the car with Anil.
After that it was pumped in polythene and inflated. The polythene swelled like a thick mattress. And the little ones became like swollen pillows.
Ratul told us, "That are our beds."
We stared at each other and thought, maybe Ratul is joking with us.
Realizing this, Ratul took a pistol out of his pocket and fired at a polythene. Oddly enough, the bullet slipped into the polythene and splashed on the other side - but nothing happened to the inflated polythene. Ratul looked at us and said, "I made these by processing carbon." He pulled a huge net from the car, much thinner than the current net, and said, "This is our tent and electrical mosquito net." Leaving and setting up like a tent.
The tent actually was like a house. And an electric wire from the mosquito net went inside the car. With this, electricity is being supplied from the car to the mosquito net. As soon as Ratul entered the tent and pressed a small switch, the whole tent was illuminated in such a way that the light was neither too much nor too little.
Didi told me, "We will all go inside the tent and see each other lying in their beds. Is it actually appropriate to stay? If not, we will go to Guwahati."
I was actually surprised when I entered the tent and lay on everyone's bed.
Although the soil on the shelf was uneven, I lay down and saw that the bed was completely comfortable.
After a while, there was a spark in the mosquito net. And I saw that as many mosquitoes came and sat on the mosquito net, each of them was burning to death due to electric shock.
Someone is singing while lying in their bed and someone is playing games on mobile. I was writing a thesis in my diary. But Ayanti got annoyed and said, "Didi, I can't find the mobile network."
Didul said to Ratul, "Ratul, why is there no network?"
Ratul said, "You can't find network."
Didi said, "Why not?"
Ratul said, "I have started the network demager I have made. As long as I have that demager, no network can work."
After a while, Ratul and Anil came out of the tent and opened the car door. And then I heard the sound of a hydraulic machine. I also got out of the tent and went to the car. I saw a small rifle of some kind. About a foot long. Ratul told me, "This is a new rifle I made. The bullets are made of uranium. After piercing the target, the uranium spreads around at high speed. A single bullet can destroy a tank, an aircraft, even the warship will be destroyed and sank.
Then Ratul showed me a binocular. The binoculars look at the target with their eyes and when they press a small button, the distance to the target is measured in the binoculars. And it is possible to see clearly even in the dark night as in the day. This has been done by developing the infrared system.
I looked at Kanchenjunga in the Himalayas and pressed the button, and suddenly I saw in binoculars the distance was six hundred and twenty-two kilometers.
This time Ratul gave me a small shotgun and said, " This is my "machitgun". I made it by combining machine gun and the mechanism of the shotgun. To reload normal shotgun, must need prepare again and again. But in my machitgun, the shell is ejected automatically and the next bullet is reloaded, but the ejected shell comes in contact with the air and reacts chemically with the air. Later it reacts with the air and mixes.
" And the bullets of the shotgun are made in an explosive mechanism. Mercury has been used in this case. The target is shattered after hitting. "
When it was time for dinner, Ratul and Anil took out a small bag from the car. He took out some titanium sheets from the inside and turned them into dining tables and chairs.
Then Ratul called everyone and heated the burgers and sandwiches on his stove. The stove also runs on hydrogen gas. In hydrogen collected from the air.
I saw a new kind of water bottle made by Ratul, which collects oxygen and hydrogen from the air and stores water in bottle.
After dinner we went to bed. But I slept with a simple shotgun.
In the middle of the night a big leopard attacked our tent, so I shot it before hitting anyone. And the tiger's head was crushed by the Mercury Explosive Bullet (Will Continued).
🌟🌟🌟 BANGLA VERSION ✒
(চলমান)
রাতুল তখন অনিলকে নিয়ে গাড়ির ভিতর থেকে কতগুলো পাতলা পলিথিন বের করলো।
এর পরে পলিথিন গুলোতে পাম্প করে ফুলালো। পলিথিন গুলো ফুলে মোটা তোষকের মতো হলো। আর ছোটগুলো ফুলে বালিশের মতো হলো।
আমাদেরকে রাতুল বললো , " এই হলো আমাদের বিছানা। "
আমরা নিজেদের মধ্যে তাকাতাকি করে মনে করলাম , রাতুল হয়তো আমাদের সঙ্গে ঠাট্টা করছে। এটা বুঝতে পেরে রাতুল পকেট থেকে পিস্তল বের করে একটা পলিথিনে গুলি করলো। অদ্ভুতভাবে গুলিটা পলিথিনে লেগে পিছলে অন্যদিকে ছিঁটকে গেল - অথচ ফুলানো পলিথিনের কিছুই হলো না। আমাদের দিকে তাকিয়ে রাতুল বললো , " কার্বনকে প্রসেস করে আমি এগুলো তৈরি করেছি। " এবং গাড়ি থেকে কারেন্ট জালের চেয়ে অত্যন্ত পাতলা একটা বিশাল জাল বের করে বললো , " এটা আমাদের তাবু ও ইলেকট্রিক্যাল মশারি। এই কথা বলে সে আর অনিল বিছানা গুলোকে মশারিটার ভিতরের এরিয়াতে রেখে তাবুর মতো স্হাপন করলো।
সত্যিই তাবুটা একটা ঘরের মতোই হলো। আর মশারি থেকে একটা ইলেকট্রিক্যাল তার চলে গেল গাড়ির ভিতরে। এটা দিয়েই গাড়ি থেকে মশারিতে বিদ্যুৎ সাপ্লাই হচ্ছে। তাবুর ভিতরে রাতুল ঢুকে ক্ষুদ্র একটা সুইচে চাপ দিতেই পুরো তাবুটা এমনভাবে আলোকিত হলো যে , আলোটা বেশিও না , আবার কমও না।
আমাকে দিদি বললো , " আমরা সকলেই তাবুর ভিতরে ঢুকে যার যার বিছানায় শুয়ে দেখবো , আসলেই থাকার উপযুক্ত কি না ? যদি না হয় , তবে গৌহাটির দিকে রওয়ানা হবো। "
তাবুর ভিতরে ঢুকে যার যার বিছানায় শুয়ে সত্যিই অবাক হলাম।
বালুচরের মাটি অসমান হলেও আমি শুয়ে দেখলাম , সম্পূর্ণভাবে বিছানাটা আরামদায়ক।
কিছুক্ষণ পরেই মশারিতে পট পট শব্দে স্পার্কিং হতে লাগলো। আর দেখলাম , যতো মশা এসে মশারিতে বসছে , প্রত্যেকটাই বিদ্যুতের শকে পুড়ে মরছে।
যার যার বিছানাতে শুয়ে কেউ গান গাইছে আবার কেউ মোবাইলে গেমস খেলছে। আমি আমার ডায়েরিতে একটা থিসিস লিখছিলাম। কিন্তু অয়ন্তী বিরক্ত হয়ে বললো , " দিদি , মোবাইলের নেটওয়ার্ক পাচ্ছি না। "
রাতুল কে দিদি বললো , " রাতুল , নেটওয়ার্ক নাই কেন ? "
রাতুল বললো , " আপনারা নেটওয়ার্ক পারবেনা । "
দিদি বললো , " কেন পাবো না ? "
রাতুল বললো , " আমার তৈরি করা নেটওয়ার্ক ডেমেজার চালু করেছি। যতক্ষণ আমার ঐ ডেমেজার চালু থাকবে , ততক্ষণ কোন নেটওয়ার্কই কাজ করতে পারবে না। "
কিছুক্ষণ পরে রাতুল আর অনিল তাবু থেকে বের হয়ে গাড়ির দরজা খুললো। আর তখন হাইড্রোলিক মেশিনের শব্দ পেলাম। আমিও তখন তাবু থেকে বের হয়ে গাড়ির কাছে গেলাম। দেখলাম , এক ধরণের ছোট একটা রাইফেল। প্রায় এক ফুট লম্বা। আমাকে রাতুল বললো , " এটা আমার তৈরি করা নতুন রাইফেল। বুলেটগুলো ইউরেনিয়ামের তৈরি। লক্ষ্য ভেদ করার পরে ইউরেনিয়াম প্রচণ্ড বেগে চতুর্দিকে ছড়িয়ে যায়। একটা বুলেটেই একটা ট্যাঙ্ক , একটা বিমান ধ্বংস করা সম্ভব। এমনকি যুদ্ধ জাহাজে পাঁচ মাইল দূর থেকে গুলি করলেও জাহাজের অংশ বিশেষ ধ্বংস হয়ে জাহাজ ডুববে।
এরপরে রাতুল আমাকে একটা বাইনোকুলার দেখালো। বাইনোকুলারটা চোখে দিয়ে নির্দিষ্ট টার্গেটে তাকিয়ে ছোট একটা বোতামে চাপ দিলে সেই টার্গেটে চাপ দিলে টার্গেটের দূরত্ব মাপা বাইনোকুলারে প্রদর্শিত হয়। আর অন্ধকার রাতেও দিনের মতোই স্পষ্ট দেখা সম্ভব। ইন্ফ্রারেড সিস্টেমকে ডেভেলপ করে এমন করা হয়েছে।
হিমালয়ের কাঞ্চনজঙ্ঘার দিকে তাকিয়ে বোতামে চাপ দিলাম , আর অমনি বাইনোকুলারে দেখলাম দূরত্ব ছয় শ বাইশ কিলোমিটার।
রাতুল এবার আমাকে ছোট একটা শটগান দিয়ে বললো , " এটা আমার তৈরি করা " মেশিটগান " মেশিনগান আর শটগানের মেকানিজমকে কম্বাইন করে এটা তেরি করেছি। সাধারণ শটগানের মতো বার বার স্লাইড টেনে গুলির শেলকে (খোসা) ইজেক্ট করে রিলোড করতে হয়না। একবার স্লাইড টেনে গুলি করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শেল ইজেক্ট হয় এবং পরের বুলেট রিলোড হয়। কিন্তু ইজেক্ট হওয়া শেল বাতাসের সংস্পর্শে এসে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে বাতাসের সঙ্গে মিশে যায়। শেল তৈরিতে রাতুল পিতলের বদলে বিশেষ এক ধরণের পদার্থ ইউজ করেছে - এটা গান পাউডারের সংস্পর্শে থাকলে পিতলের মতো শক্ত থাকে। কিন্তু ইজেক্ট হওয়ার পরে বাতাসের সঙ্গে বিক্রিয়া করে মিশে যায়।
আর শটগানের বুলেটগুলো এক্সপ্লুসিভ ম্যাকানিজমে তৈরি। এক্ষেত্রে মারকারি ইউজ করা হয়েছে। লক্ষ্যে আঘাত করে লক্ষ্য স্হল ছিন্ন - ভিন্ন করে দেয়।
রাতের খাবারের সময় হলে রাতুল আর অনিল গাড়ি থেকে ছোট একটা ব্যাগ বের করলো। ভিতর থেকে টাইটানিয়ামের কিছু পাত বের করে জুড়ে জুড়ে ডাইনিং টেবিল আর চেয়ারে পরিণত করলো।
এরপরে সকলকে রাতুল ডেকে এনে বার্গার আর সেন্ডউইচ গরম করলো নিজের স্টোভে । স্টোভটাও চলে হাইড্রোজেন গ্যাসে। বাতাস থেকে সংগ্রহ করা হাইড্রোজেনে।
রাতুলের তৈরি নতুন এক ধরণের পানির বোতল দেখলাম, বাতাস থেকেই অক্সিজেন আর হাইড্রোজেন সংগ্রহ করে পানিতে পরিণত করে জমা রাখে।
রাতের খাবার শেষ করে যে যার বিছানায় শুলাম। কিন্তু সাধারণ একটা শটগান আমার সঙ্গে নিয়েই ঘুমালাম।
মাঝ রাতে একটা বড় চিতা বাঘ আমাদের তাবুতে হামলা করলো , তাই কেউকে আঘাত করার আগেই আমি সেটাকে গুলি করলাম। আর মার্কারি এক্সপ্লোসিভ বুলেটের আঘাতে বাঘটার মাথাটা চূর্ণ - বিচুর্ণ হলো (চলবে 🌈Google/ https://is.gd/mfb4R )।
© All Rights Reserved