223)(গল্প-1-15) আসামের জঙ্গলে - 15 (IN THE FOREST OF ASSAM - 15)।-Written by Junayed Ashrafur Rahman ✒

 223 https://is.gd/49Ryc ) (গল্প - 1 https://is.gd/tI67x ) আসামের জঙ্গলে - 15 (IN THE FOREST OF ASSAM - 15)।-Written by https://is.gd/sx3IU Junayed Ashrafur Rahman ✒

🌟🌟🌟 ENGLISH VERSION ✒ 

(RUNNING ✒ 🌈Google/ https://is.gd/Dahv0 🌟 FIRST PART ✒ https://is.gd/UDjV8

After crossing the gate of the shrine, having breakfast at a hotel on the side of the main road, I (Ratul) went up to Laguna and went to Zakiganj. As per the information, I took a rickshaw and went to a Colony near side of the deep forest. The houses in that neighborhood are about three hundred meters away from each other. I have been told that only one person from this neighborhood works as an assistant to that weapons dealer. But I was only told the name of that person and the colony - so I started walking carefully through that colony.




I finally found a shop. Shop means, shopping for daily necessities like kerosene, muri (driedly fried rice), matches etc.




The shop owner is over sixty years old. I asked him to give me muri after sitting on the bench in front of the shop. While I was eating the muri , the shop owner asked me, "Here, Where are you wanting to go?" I said the man's name, "I came to meet with him."




Shop owner: - What do you need with him?




I: - He had an acquaintance with one of my grandfathers in Dhaka. My grandfather sent me to meet with him.




- You can't meet him.




- Why?




- He died a long time ago.




- Do you know him?




- He's my father-in-law.




- Is he your father-in-law?




- Of course. He is also my maternal uncle. My home is in Karimganj, Assam. During the partition of the country in 1947, my father, grandfather and great-grandfather moved to Karimganj in Assam. But my grandfather left me at our uncle's house to keep the property we left behind in Bangladesh. Later I married his daughter by him. You can tell me that you are in need with my father-in-law.




I stopped eating and said, "Can you help me with that need?"




The shop owner said softly in a little surprise, "What's the need, that I can't cooperate with the need?"




Then I said, "Your father-in-law had an affair with an weapons dealer. I want to know, who is that weapons dealer?"




He said in astonishment, "Who are you?"


I said, "CBI officer."




He said nervously, "What is the proof that you are a CBI officer?"




Then I started speaking Hindi and Assamese fluently. Then he also started speaking Bhojpuri language. I also spoke Bhojpuri language then. He said with some fear, "I can cooperate with you on one condition, that is - do not tell the administration or police of Bangladesh, even the police or administration of India - about me."




I: - I will keep your identity secret.




- In fact, even though my father-in-law is a Bangladeshi citizen, he was extremely pro-Indian. And he believed in his heart that in the future, Assam, Sylhet and Mymensingh would be united like before 1947. The extremists in Assam took advantage of my father-in-law's condition. They explained to my father-in-law that they were generous and true patriots. They also want to unite Mymensingh, Sylhet and Assam for the economic development of the people. In fact, they were illegal weapons dealers. But speaking of nationalism, they built an illegal weapons depot in Zakiganj with my father-in-law. Extremists used to buy cheap weapons from the rebels in the northern part of Myanmar and hide them in Zakiganj, Bangladesh with the help of my father-in-law. And my father-in-law also he cooperated with them without understanding the actual issue. At one time a man came from Dhaka and explained to my father-in-law that although his home was in Rajshahi, He is ready to cooperate with the people of the North-East. Some extremists from Assam were also present. The man has an agreement with them, he will also bring weapons and deposit them in Zakiganj. Since then, more illegal weapons have been imported. But due to increased security on the Bangladesh-India border and a slight increase in the Indian government's crackdown on extremists. For this reason, extremists in Assam and those weapons dealers in Bangladesh were forced to stop importing illegal weapons.




But by then my father-in-law had run out of money. Because, by bringing illegal weapons to Bangladesh, with my father-in-law's money, they used to hide those weapons and cover their own living expenses in Bangladesh.




But after their arms imports stopped, they also stopped communicating with my father-in-law. At one point, my father-in-law became a patient of hypertension while living in their hopes. After being admitted to Sylhet Hospital for two months, I was brought back home. That's when, I married his daughter by him. And a few days later he told me everything, but could not tell where the weapons were hidden in Zakiganj. Because, even though the extremists provided all kinds of cooperation, including money, through my father-in-law, he did not say where the weapons were being hidden.




- At what time were the weapons hidden?




- Between 1980 and 2000.




- Then I'm going to rescue those weapons.




- Be careful. Because, some peoples employed by extremists are still guarding them (will continue). 

🌟🌟🌟 BANGLA VERSION ✒ 

(চলমান https://is.gd/Dahv0 প্রথম পর্ব ✒ https://is.gd/UDjV8 )


মাজারের গেট পেরিয়ে মেইন রোডের পাশে একটা হোটেলে নাস্তা করে লেগুনাতে উঠে চলে গেলাম জকিগঞ্জে। প্রাপ্ত তথ্যমতে একটা রিকশায় করে চলে গেলাম গভীর বনাঞ্চলের পাশে মাত্র কয়েকটা বাড়ি নিয়ে গড়ে উঠা একটা পাড়াতে। ঐ পাড়ার বাড়িগুলো আবার একটা থেকে আরেকটা প্রায় তিনশো মিটার দূরে। আমাকে বলা হয়েছে এই পাড়ারই একলোক ঐ অস্ত্র ব্যবসায়ীর সহকারী হিসেবে কাজ করে। কিন্তু শুধু ঐ লোকের আর পাড়ার নামটা আমাকে বলা হলো - তাই সাবধানে আমি ঐ পাড়ার মধ্য দিয়ে হাঁটতে লাগলাম।


অবশেষে একটা দোকান পেলাম। দোকান মানে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের , যেমন : কেরোসিন , মুড়ি , দিয়াশলাই প্রভৃতির দোকান।


দোকানের মালিকের বয়স ষাট বছরের চেয়ে বেশি। আমি সেই দোকানের সামনে রাখা বেঞ্চে বসে মুড়ি দিতে বললাম। মুড়ি খাওয়ার সময় দোকানের মালিক আমাকে জিজ্ঞেস করলেন , " এখানে কোথায় এসেছেন ? " আমি ঐ লোকের নাম বলে বললাম , " উনার সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। "


দোকান মালিক : - উনার সঙ্গে আপনার কী প্রয়োজন ?


আমি : - ঢাকাতে আমার এক দাদার সঙ্গে উনার পরিচয় ছিলো। আমার ঐ দাদা পাঠিয়েছেন উনার সঙ্গে দেখা করার জন্য।


- আপনি তো উনার সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না।


- কেন ?


- উনি তো মারা গিয়েছেন অনেক আগে।


- উনাকে আপনি চিনতে কি ?


- উনি তো আমার শ্বশুর।


- উনি কি আপনার শ্বশুর ?


- অবশ্যই। উনি আমার আপন মামাও বটে। আমার বাড়ি আসামের করিমগঞ্জে। 1947 সালে দেশ ভাগের সময় আমার বাবা , দাদা , পরদাদা আসামের করিমগঞ্জে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশে আমাদের রেখে যাওয়া সম্পত্তি নিজেদের অধিকারে রাখার জন্য দাদা আমাকে আমাদের মামার বাড়িতে রেখে গিয়েছিলেন। পরে আমার সঙ্গে মামা নিজের মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলেন। আমার শ্বশুরের সঙ্গে যে দরকারে এসেছেন , আমাকে বলতে পারেন।


আমি মুড়ি খাওয়া বন্ধ করে বললাম , " সেই দরকারের কথা বললে আপনি আমাকে সহযোগিতা করতে পারবেন ? "


দোকান মালিক একটু চমকে ধীরে ধীরে বললেন , " এমন কী প্রয়োজন , যে প্রয়োজনের বিষয়ে আমি সহযোগিতা করতে পারবো না ? "


তখন আমি বললাম , " একজন অস্ত্র ব্যবসায়ীর সঙ্গে আপনার শ্বশুরের সম্পর্ক ছিলো। আমি জানতে চাচ্ছি , কে সেই অস্ত্র ব্যবসায়ী ? "


তিনি হতভম্ব হয়ে বললেন , " কে আপনি ? "

আমি বললাম , " সিবিআই অফিসার। "


তিনি ভয়ে ভয়ে বললেন , " আপনি যে সিবিআই অফিসার , এর প্রমাণ কী ? "


তখন আমি হিন্দি আর আসামিজ ভাষায় আনর্গল কথা বলতে লাগলাম। তখন তিনিও ভোজপুরি ভাষায় কথা বলতে লাগলেন। আমিও তখন ভোজপুরি ভাষায় কথা বললাম। তিনি কিছুটা ভয়মুক্ত হয়ে বললেন , " আমি আপনাকে একটা শর্তে সহযোগিতা করতে পারি , সেটা হচ্ছে - আমার বিষয়ে বাংলাদেশের , এমনকি ভারতের পুলিশ - প্রশাসনকেও বলবেন না। "


আমি : - আপনার পরিচয় আমি গোপন রাখবো।


- আসলে আমার শ্বশুর বাংলাদেশী নাগরিক হলেও , তিনি ছিলেন চরম মাত্রায় ভারতপন্থী। এবং তিনি মনে মনে বিশ্বাস করতেন , ভবিষ্যতে অবশ্যই আসাম , সিলেট আর ময়মনসিংহ 1947 এর আগের মতো একত্রিত হবে। আমার শ্বশুরের এই অবস্থার সুযোগ নিয়েছিলো আসামের উগ্রবাদীরা। ওরা আমার শ্বশুরকে বুঝিয়েছিলো , ওরা উদার ও সাচ্চা দেশপ্রেমিক। ওরাও চাচ্ছে মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্যে ময়মনসিহ , সিলেট আর আসামকে একত্রিত করতে। আসলে ওরা ছিলো অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী। কিন্তু জাতীয়তাবাদের কথা বলে আমার শ্বশুরকে দিয়ে ওরা জকিগঞ্জে অবৈধ অস্ত্রের গোদাম বানিয়েছিলো। মায়ানমারের উত্তরাঞ্চলের বিদ্রোহীদের কাছ থেকে সস্তায় অস্ত্র কিনে বাংলাদেশের জকিগঞ্জে লুকিয়ে রাখতো আমার শ্বশুরের সহযোগিতায়। আর আমার শ্বশুরও আসল বিষয় না বুঝেই ওদেরকে সহযোগিতা করতেন। এক সময় ঢাকা থেকে এক লোক এসে আমার শ্বশুরকে বুঝায় , ওর বাড়ি রাজশাহী হলেও , সে উত্তর - পূর্বাঞ্চলের মানুষকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। আবার আসামের কয়েকজন উগ্রবাদীও তখন উপস্হিত ছিলো। ওদের সঙ্গে ঐ লোকের চুক্তি হয় , সেও অস্ত্র এনে জকিগঞ্জে জমা করবে। এরপর থেকেই শুরু হয় আরও বেশি অবৈধ অস্ত্রের আমদানি। কিন্তু বাংলাদেশ - ভারতের সীমান্তের প্রহরা আরো বেড়ে যাওয়ার কারণে এবং উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে ভারতের গভমেন্টের কঠোরতা কিছুটা বাড়ার কারণে , এক সময় অবৈধ অস্ত্রের আমদানি বন্ধ করতে বাধ্য হয় আসামের উগ্রবাদীরা আর বাংলাদেশের ঐ অস্ত্র ব্যবসায়ী।


কিন্তু ততোদিনে আমার শ্বশুরের জমানো টাকা শেষ হয়ে গিয়েছিলো। কেননা , বাংলাদেশে অবৈধ অস্ত্র এনে আমার শ্বশুরের টাকা দিয়ে ওরা ঐ অস্ত্র লুকানো আর নিজেদের থাকা - খাওয়ার খরচ মিটাতো।


কিন্তু ওদের অস্ত্র আমদানি বন্ধ হওয়ার পরে আমার শ্বশুরের সঙ্গে ওরাও যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক সময় ওদের আশায় থাকতে থাকতে আমার শ্বশুরও হাইপার টেনশনের রোগীতে পরিণত হয়েছিলেন। সিলেট হসপিটালে দুই মাস ভর্তি রাখার পরে বাড়িতে ফিরিয়ে আনি। তখনই আমার সঙ্গে উনার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলেন। এবং কিছু দিন পরে আমাকে সকল কিছু বলেছিলেন , কিন্তু অস্ত্রগুলো জকিগঞ্জের কোথায় লুকানো আছে , সেটা বলতে পারেন নি। কেননা , উগ্রবাদীরা টাকাসহ সকল ধরণের সহযোগিতা আমার শ্বশুরের মাধ্যমে করালেও , অস্ত্রগুলো কোথায় লুকানো হচ্ছিলো , সেটা বলতো না।


- অস্ত্রগুলো কোন সময়ে লুকানো হয়েছিলো ?


- উনিশ শ আশি সাল থেকে দুই হাজার সালের মধ্যে।


- তাহলে আমি যাচ্ছি , ঐ অস্ত্রগুলো উদ্ধার করতে।


- সাবধানে থাকবেন। কেননা , উগ্রবাদীদের নিয়োজিত কিছু লোক ওগুলো এখনও পাহারা দিচ্ছে (চলবে 🌈Google/ https://is.gd/vdy15 )। 


Popular posts from this blog

184) (গল্প - 1) আসামের জঙ্গলে (IN THE FOREST OF ASSAM)।-Written by Junayed Ashrafur Rahman

799)(Story_45) Murder in the village. (গ্ৰামে খুন।) _ Written by Junayed Ashrafur Rahman

219)(Story-1-12)IN THE FOREST OF ASSAM 12. -Written by Junayed Ashrafur Rahman