751)(Story_44) Invisible relationship. (অদৃশ্য সম্পর্ক।) _ Written by Junayed Ashrafur Rahman

751 https://linksofmystoriesjunayedmn1.blogspot.com/2020/10/links-of-my-stories.html )(Story_44) Invisible relationship.

(অদৃশ্য সম্পর্ক।) _ Written by Junayed Ashrafur Rahman https://mywritingsjunayedmn1.blogspot.com/2019/12/about-me-junayed-ashrafur-rahman.html ✒ 

The video of how to translate my writings into your language.(আমার লেখাগুলো যেভাবে আপনার ভাষায় অনুবাদ করে পড়বেন,সেটার ভিডিও।) https://youtu.be/rsfots7Zf4Q?si=nmdFRZ_3kmCBzKne 🌟https://fb.watch/sdg6hGOW4A/?mibextid=Nif5oz

“সাহিত্যিক ও রাজনীতিকের মধ্যে গড়ে উঠল একটা অদৃশ্য সম্পর্ক।”


সমুদ্রের তীরে অনেক মানুষ আছেন।যে যার মতো সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।এমন সময় একজন লোক এসে সেখানে উপস্থিত হলেন।ইনি হলেন সাহিত্যিক।


এর কিছুক্ষণ পর থেকে সেই স্থানের লোক আস্তে‌ আস্তে কমতে শুরু করলো।


এক পর্যায়ে সেই স্থানটায় শুধু উপস্থিত থাকলেন সাহিত্যিক।


কিছুক্ষণ পরেই একটা গাড়ি সেই স্থানে উপস্থিত হলো।আর সেই গাড়ি থেকে নেমে এলেন রাজনীতিক।


গাড়ি থেকে নেমে কিছুটা হেঁটে রাজনীতিক উপস্থিত হলেন সাহিত্যিকের সামনে।


সাহিত্যিক বললেন,“অবশেষে আমাদের দুজনের মধ্যে দেখা হয়েই গেলো।”


রাজনীতিক বললেন,“এতো বছর ধরে আমাদের মধ্যে অদৃশ্য সম্পর্ক চলছে,দেখা না হয়ে উপায় আছে?”


_ অথচ কোথায় তুমি আর কোথায় আমি।দু জনের মধ্যে কত ব্যবধান।


_ সেটা অবশ্য ঠিক। কিন্তু শুরুতে আমরা দুজনের মধ্যে কোন সম্পর্কই ছিলো না।


_ না ছিলো কোন রাজনৈতিক সম্পর্ক আর না ছিলো কোন আত্মীয়তার সম্পর্ক।অথচ আমার দেখাদেখি আর তোমার রাজনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে হয়ে উঠলো আমাদের অদৃশ্য সম্পর্ক।তুমি রাজনীতিক,তাই তোমাকে টিভি, ইউটিউব আর ফেসবুকসহ অন্যান্য প্লাটফর্মে তোমাকে দেখানো হয়।তাই স্বাভাবিকভিবেই তোমাকে আমি চিনি। কিন্তু আমি সাহিত্যিক।আমার ফেসবুক, ইউটিউব আর অন্যান্য কয়েকটা প্লাটফর্মে আমার একাউন্ট আছে। কিন্তু আমাকে তোমার মতো দেখানো হয় না।তাই তুমি আমাকে চিনলে কীভাবে?


_ আমি তো নিজে তোমাকে চিনি নি।বরং আমার সহযোগী অনেক লোক আছে,ওরা আমাকে বিভিন্নভাবে তথ্য প্রদান করে। ফেসবুক, ইউটিউব,টিভি চ্যানেলসহ আরো বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ওরা তথ্য সংগ্ৰহ করে।এরপর যে তথ্যটাকে মনে করে আমাকে জানানো উচিত,আমাকে সেই তথ্যটা জানায়।তেমনি একবার গণতন্ত্রের পক্ষে একটা লেখা লিখেছিলে, সেটা পড়ে একজন আমাকে জানায় যে,তুমি গণতন্ত্রের পক্ষে লিখছো।এটা আমার বিরোধীদেরকে উৎসাহিত করতে পারে।তাই আমি বলেছিলাম,ওরা যেন তোমার প্রত্যেকটা লেখা পড়ে দেখে বাস্তবেই তুমি আমার প্রতিপক্ষদেরকে উৎসাহিত কর কি না?এ পর্যন্তই।এরপর থেকেই যখনই তুমি কোন লেখা ইন্টারনেটে পোস্ট করো,তখনই আমাকে ওরা তোমার লেখা দেখায়। এভাবেই আমি তোমার নিয়মিত পাঠকে পরিণত হলাম। কিন্তু আমি পারি না সেটা সরাসরি প্রকাশ করতে। কেননা,সেটা প্রকাশ করলে তোমারই সমস্যা হবে। কেননা,যারা অনেক বছর ধরে আমার সাথে রাজনীতি করছে,ওরা তোমাকে হিংসা করবে।এমনকি ওরা তোমার ক্ষতিও করতে পারে।তাই পরোক্ষভাবে আমার বিভিন্ন বক্তব্যে তোমার লেখার উদ্ধৃতি দেই‌।যাতে তুমি বুঝতে পারো যে, তোমার লেখা আমি পড়ি।অথচ সেটা তুমিই বুঝতে পারো,অন্য কেউই বুঝতে পারে না।


_ প্রথম প্রথম বিষয়টা আমার কাছে কাকতালীয় মনে হতো।আমার কাছে মনে হতো চিন্তাধারার মিলের কারণে এরকম হচ্ছে। কিন্তু পরবর্তীতে বুঝতে পারলাম যে,বিষয়টা কাকতালীয় না।বরং আমার লেখা পড়েই তুমি মাঝে মাঝে এরকম উদ্ধৃতি দাও। কিন্তু বিষয়টা আমি কখনই কেউকে বলি না।আর বললেও সেটা কেউই বিশ্বাস করবে না।তাই আমি তোমার বক্তব্যে আমার লেখার উদ্ধৃতি শোনে চুপচাপ থাকি।আর আমার মতো আমি লেখালেখি করি।


_ তবে একটা সময় আমার মনে একটা ধারনার উদয় হয় যে,তুমি সাহিত্যে নোবেল প্রাইজ পাবে। কিন্তু এখনো তুমি সাহিত্যে নোবেল প্রাইজ পাচ্ছো না,তাতে তোমার কেমন লাগছে?


_ আমি তো নোবেল প্রাইজের লোভে ইন্টারনেটে লিখি না।নোবেল প্রাইজের লোভে ইন্টারনেটে আমি লেখালেখি শুরু করি নি।বরং আমার মৌলিক চিন্তাধারা প্রকাশ করার জন্যই ইন্টারনেটে আমি লিখি।আর নোবেল প্রাইজ হচ্ছে অপ্রত্যাশিত একটা বিষয়। নোবেল কমিটি পছন্দ করলে কেউ নোবেল প্রাইজ পান,আর নোবেল কমিটি পছন্দ না করলে কেউ নোবেল প্রাইজ পান না।তাই নোবেল প্রাইজের আশায় বসে থাকলে দিন চলবে না।


এবার রাজনীতিক একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন,“আমি তো মনে করেছিলাম তুমি নোবেল প্রাইজ পাওয়ার জন্য ইন্টারনেটে এভাবে লিখছো।অথচ তোমার সাথে আলাপ করে এখন জানতে পারলাম,তোমার ব্যাপারে আমার এরকম ধারণাটাই ভুল। মূলত আমি নিজেই অনেক বছর ধরে শান্তিতে নোবেল প্রাইজ পাওয়ার আশায় আছি।তাই আমি মনে করলাম,তুমি হয়তো সাহিত্যে নোবেল প্রাইজ পাওয়ার লোভে ইন্টারনেটে লিখছো।”


সাহিত্যিক বললেন,“তুমি শান্তিতে নোবেল প্রাইজ পেলে আমার কোন ধরনের আপত্তি নাই।সেটা তোমার একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার।তুমি রাজনীতি করে শান্তিতে নোবেল প্রাইজ পেলে আমার মতো সাহিত্যিকের কোন আপত্তি থাকার কথাও না। কেননা, আমি রাজনীতি বিষয়ে লেখালেখি করলেও বাস্তবে রাজনীতি করি না।এমনকি আমার জীবনে কখনো রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিই নি। আর তোমার রাজনীতিতে আমি কোনভাবেই সমস্যা তৈরি করিনি এবং করবও না।”


রাজনীতিক এবার সহানুভূতির সুরে বললেন,“তাহলে তোমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?”


সাহিত্যিক বললেন,“লেখালেখির জন্য সরকারি কোন চাকরিতে আমি যোগদান করিনি।এমনকি লেখালেখির জন্যই বেশি করে টাকা রোজগার করি নি।এখন লেখালেখির পাশাপাশি একটু বেশি টাকা রোজগার করে বাকিটা জীবন আরামে থাকতে চাই।”


রাজনীতিক বললে,“কীভাবে বেশি টাকা রোজগার করতে চাচ্ছো?”


সাহিত্যিক বললেন,“আমার বাবা তো আমার জন্য কারখানা রেখে যান নি যে, সেগুলোর মাধ্যমে বেশি করে টাকা রোজগার করব।তাই আমি চাচ্ছি, ইউরোপের কোন দেশে,যেমন:- ইটালি,জার্মানি অথবা  ফ্রান্সে গিয়ে দশ বারোটা বছর অবস্থান করে টাকা রোজগার করে আবার দেশে চলে আসব।আর বাকিটা জীবন সাধারন ও স্বাধীনভাবে আরামে কাটাব।”


রাজনীতিক এবার মুচকি হেসে বললেন,“তুমি কি ইটালি,ফ্রান্স অথবা জার্মানিতে যেতে সত্যিই ইচ্ছুক? সরকারিভাবে সে দেশগুলোতে যাওয়ার ব্যবস্থা আছে।তুমি যদি যেতে চাও,তাহলে আমি ব্যবস্থা করে দেব।তুমি আগে পাসপোর্টটা করো।এরপর আমি সেটার ব্যবস্থা করে দেব।অবশ্যই সেটা পরোক্ষভাবে।যাতে কেউই বুঝতে না পারে যে, তোমার লেখা পড়ার কারণে তোমাকে আমি ইউরোপে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।”


সাহিত্যিক এবার কৃতজ্ঞতার সুরে বললেন,“যদি তুমি এটা করে দাও,তাহলে আমি তোমার কাছে কৃতজ্ঞ থাকব।আমি এটা বলব না যে,আমার লেখা পড়ো বলে তুমি আমাকে ইউরোপে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছো। কিন্তু আমি এটা অবশ্যই বলব ও লিখড যে,তোমার সময়ে আমি প্রআয় বিনা খরচে ও বিনা বাধায় ইউরোপে যেতে পেরেছিলাম।”


রাজনীতিক বললেন,“হ্যাঁ, আমার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের জন্য এটুকুই যথেষ্ট।আর এ কারণে আমার অত্যন্ত ভালো লাগবে যে,আমি যার লেখা পড়ি,ওর জীবনে প্রাচুর্য এসেছে এবং বাকিটা জীবন সাধারন ও স্বাধীনভাবে আরামে কাটাতে পারবে।”


একথা শোনে সাহিত্যিক বললেন,“তাহলে আমাদের আলোচনার সমাপ্তি হলো।আমি বাড়ি যেতে চাই।”


রাজনীতিক বললেন,“আমাদের কি আর কখনো দেখা হবে না?”


সাহিত্যিক বললেন,“সেটা আমি নিশ্চতভাবে জানি না। কিন্তু অটুট থাকবে আমাদের মধ্যকার অদৃশ্য সম্পর্ক।”


একথা বলার পর রাজনীতিক ও সাহিত্যিক যে যার পথে চলে গেলেন।(সমাপ্ত) ©️All Right Reserved by Junayed Ashrafur Rahman




24°33'58.6"N 90°41'30




My home Location ✒ https://parg.co/UdXS , But I don't live here. Rented out to other peo




Nandail Municipality, Mymensingh, Banglad




Junayedmn1@gmail




+880161111




My Writings ✒ https://www.blogger.com/profile/11734624718328723




702) My success in writing. (লেখালেখিতে আমার সাফল্য।) – Written by Junayed Ashrafur Rahman ✒ https://literatureforalljunayedmn1.blogspot.com/2023/06/702-my-success-in-writing-written-by.




707)After the fantasy of ministry.(মন্ত্রিত্বের ফ্যান্টাসির পরে।)– Written by Junayed Ashrafur Rahman ✒ https://mytimemyexperiencesjunayedmn1.blogspot.com/2023/06/707after-fantasy-of-ministry-written-by.






636) About the intellectual property of my writing.(আমার লেখার মেধাস্বত্ব সম্পর্কে।)— Written by Junayed Ashrafur Rahman ✒ https://parg.co




637)Win prizes.(পুরস্কার জিতুন।) - Written by Junayed Ashrafur ✒ https://parg.co/




667)Case against AI ChatGPT. (এআই চ্যাট জিপিটির বিরুদ্ধে মামলা।) – Written by Junayed Ashrafur Rahman ✒ https://parg.co/U3oD http://ow.ly/Zawy104








#Intellectualproperty #Literature #Law #Contract #Writing  #Wisdomu7kOUdwF/UdXG htmlhtml069 2262.comesh.ple..4"E

Popular posts from this blog

184) (গল্প - 1) আসামের জঙ্গলে (IN THE FOREST OF ASSAM)।-Written by Junayed Ashrafur Rahman

799)(Story_45) Murder in the village. (গ্ৰামে খুন।) _ Written by Junayed Ashrafur Rahman

219)(Story-1-12)IN THE FOREST OF ASSAM 12. -Written by Junayed Ashrafur Rahman